Bengali govt jobs   »   WhatsApp, Facebook,Twitter may ban from  India...

WhatsApp, Facebook,Twitter may ban from  India ? | Explain in Bengali

WhatsApp, Facebook,Twitter may ban from  India ? | Explain in Bengali_2.1

চারদিকে গেলো গেলো রব উঠেছে | তাহলে  ফেসবুক , হোয়াটস আপ  কি ব্যান হয়ে যাবে ভারত থেকে ? মুহূর্তের  ভাইরাল  খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারো পোস্ট,  বাড়ির ছোট পাবলো থেকে রেনু কাকিমা  সবাই চিন্তিত ;  ফেসবুকে আর হোয়াটসআপে  স্ক্রল করা না করে  কতক্ষনই  বা থাকা যায়। না এসব কিছুই নয়। সরকার দেশের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া যাদের গ্রাহক সংখ্যা পঞ্চাশ লক্ষের ও  অধিক  তাদেরকে  তথ্য প্রযুক্তির কিছু আইনের আওতায় আনতে চাইছে | যেমন এই  ইনফরমেশন  টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন এন্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) রুলস 2021 আইন |

 

  ইনফরমেশন  টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন এন্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) রুলস 2021 আইনের ধারণা :

নতুন এই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সমস্ত ডিজিটাল কনটেন্ট গুলি পড়বে। এই আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো কোড অফ এথিক্স এবং থ্রি -টায়ার  গ্রিভেন্স রিড্রেসল ফ্রেমওয়ার্ক, যা 26 মে , 2021 থেকে  কার্যকরী হবে।

 

নতুন আইনটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য :

1. সমস্ত ওভার দা টপ  (OTT)  এবং ডিজিটাল  প্লাটফর্মগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার আটকানোর জন্য অবশ্যই একটি গ্রিভেন্স  রিড্রেসল সিস্টেম থাকবে।

2. সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে 24/7 একজন চিফ কম্পলিয়েন্স অফিসার এবং একজন নোডাল কন্টাক্ট অফিসার রাখতে হবে |

3. সোশ্যাল মিডিয়া গুলিতে একজন গ্রিভেন্স অফিসার রাখতে হবে যাতে কোনো অভিযোগের 24 ঘন্টার মধ্যেই  তা রেজিস্টার এবং 15  দিনের মধ্যেই তা সমাধান করা যায়।

4. সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী কিংবা শিশুদের ওপর ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নমূলক বা অবমাননাকর কোনো কনটেন্ট পোস্ট হওয়ার 24 ঘন্টার মধ্যেই তা সরিয়ে দিতে হবে।

5. প্রতিমাসে কত অভিযোগ জমা পড়ছে , কতগুলি অভিযোগের সমাধান হচ্ছে তার সম্বন্ধে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে |

6. সংবাদ প্রকাশনা সংস্থা গুলিকে ত্রিস্তরীয় নিয়মনীতির আওতায় ফেলতে হবে ।

যদি এই আইন না মানা হয় সেই ক্ষেত্রে  :

 

  • এই আইন না মানলে ফেসবুক ,হোয়াটসআপ প্রভৃতির মতো তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ব্যান করা হতে পারে ভারতের বুক থেকে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া তার এই ইন্টারমিডিয়ারি স্ট্যাটাস  হারাতে পারে  এবং ক্রিমিনাল আইনের আওতায় আসতে  পারে।

 

টেক-জায়ান্ট সংস্থাগুলির মতামত  :

 

  • এরমধ্যেই গুগল সরাসরি তাদের পক্ষে এই আইন মেনে চলা সম্ভব কিনা তা না জানালেও , তারা যে  ভারতীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেটা জানিয়েছে। ফেসবুক জানিয়েছে তারা এই নতুন  নিয়ম মেনে চলবে।

 

  •   দিল্লী হাইকোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে  আপিল করা হয়েছে । তারা সুপ্রিম কোর্টে  কে এস পুটুস্বামী কেসটির রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেছে , “গোপনীয়তার  অধিকার  হলো মৌলিক অধিকার “ , যা এই আইনের দ্বারা লংঘিত হতে পারে। এক্ষেত্রে তথ্যের সূত্র খুঁজতে  গেলে গ্রাহকের এন্ড-টু -এন্ড  এনক্রিপ্টেড  মেসেজ পরিষেবা ব্যহত হবে। এর ফলে গ্রাহকদের তথ্য আর নিরাপদ থাকবেনা।

 

  • তবে  কেন্দ্রসরকার হোয়াটসআপ  এর মামলার প্রত্যুত্তরে জানিয়েছে, ভারতে ব্যবসা করতে গেলে ভারতের এই আইন মেনে চলতে হবে।  কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে গ্রাহকদের গোপনীয়তা  লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে হোয়াটসআপ  এর কোনো মেসেজের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়নি। এই আইন  শুধুমাত্র আনা  হয়েছে ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার  জন্য তথা নারী শিশুর উপর  ঘটে চলা অপরাধ রোখার  জন্য। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী  রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন সরকার সব নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার দিতে বদ্ধপরিকর।এনক্রিপশন  রেখে কিভাবে রেখে কিভাবে মেসেজের উৎস  খুঁজে পাওয়া সম্ভব সেই প্রযুক্তি তৈরী করা  হোয়াটস্যাপ এর কাজ। “

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Sharing is caring!