Table of Contents
Poverty And Unemployment In India
Poverty And Unemployment In India: দারিদ্র্যতা হল কিছু বস্তুগত সম্পদ বা সামান্য আয় থাকার অবস্থা। দারিদ্র্যের বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ ও প্রভাব থাকতে পারে। পরিসংখ্যান বা অর্থনীতিতে দারিদ্র্যের মূল্যায়ন করার সময় দুটি প্রধান ব্যবস্থা রয়েছে: পরম দারিদ্র্য মৌলিক ব্যক্তিগত চাহিদা, যেমন খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থান পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের সাথে আয়ের তুলনা করে; জীবনযাত্রার মান, একই সময়ে এবং স্থানে অন্যদের তুলনায়। আপেক্ষিক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা এক দেশ থেকে অন্য দেশে, বা এক সমাজ থেকে অন্য সমাজে পরিবর্তিত হয়।
Poverty And Unemployment In India: Definition Of Poverty
দারিদ্র্যের বিভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে যে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটি স্থাপন করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত এমন একটি রাষ্ট্র বা অবস্থার উল্লেখ করে যেখানে একজন ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার একটি নির্দিষ্ট মানের জন্য আর্থিক সংস্থান এবং প্রয়োজনীয়তার অভাব রয়েছে।যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোনো একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে, বাজার থেকে ওই সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী কিনতে যে খরচ লাগে তাকেই বলা হয় দারিদ্র্য রেখা বা দারিদ্রসীমা।
Poverty And Unemployment In India: Causes Of Persistence Of Poverty In India
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ভারতের দারিদ্র দূরীভূত হয়নি। তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া ছকে আলোচনা করা হলো।
বিষয় | কারণ |
Unemployment (বেকারত্ব) | দারিদ্রতার অন্যতম প্রধান কারণ হল বেকারত্ব। সরকারও পরিকল্পনার প্রথম দিকে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য কোন কর্মসূচি গ্রহণ করেননি, মনে করা হত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে দারিদ্রের সমস্যা দূর হবে। কিন্তু দেখা গেছে জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে দারিদ্র দূর হচ্ছে না, বরং দারিদ্র রেখার নিচে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে। |
Inflation (মুদ্রাস্ফীতি) | এই দারিদ্রতার আর এক অন্যতম কারণ হলো মুদ্রাস্ফীতি। দামস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়েছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। |
Population Growth (জনসংখ্যা বৃদ্ধি) | জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেও দারিদ্রতার অন্যতম কারণ মনে করা হয়। ভারতের জাতীয় আয় পরিকল্পনাকালে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে ব্যাপক হরে জনসংখ্যার বৃদ্ধিও ঘটেছে। ফলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে খুব সামান্যই। আর দারিদ্রতার হার দিন দিন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। |
Aggravation in Industry (শিল্পক্ষেত্রে রুগ্নতা) | এই শিল্পক্ষেত্রে রুগ্নতাও দারিদ্রের সমস্যার জন্য দায়ী। যার জন্য শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং বেকারত্ব তীব্র আকার নিয়েছে যা দারিদ্রতা চরম হারে বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। |
Poverty And Unemployment In India: Poverty Alleviation Programmes
ভারতের দারিদ্র দূরীকরণের জন্য প্রথম চারটি পরিকল্পনায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, মনে করা হত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে দারিদ্রের সমস্যা দূর হবে। কিন্তু দেখা গেছে জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে দারিদ্র দূর হচ্ছে না, বরং দারিদ্র রেখার নিচে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে।সেইজন্য পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় 1971 সালের সাংসদীয় নির্বাচনের আগে “গরিবি হঠাও” শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। সেই সময় দেশের দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নূন্যতম প্রয়োজন পূরণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা,গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসার উন্নয়ন, বস্তি উন্নয়ন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন,গ্রামীণ প্রকল্প উন্নয়ন, কর্মসংস্থান প্রকল্প ইত্যাদি ।
Poverty And Unemployment In India: Unemployment In India
দারিদ্রতার অন্যতম প্রধান কারণ হল বেকারত্ব। ভারতের পরিকল্পনা রচয়িতারা ধরে নিয়েছিলেন যে জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে কর্মসংস্থানও বাড়বে তবে কর্মহীন ব্যাক্তিদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষমাত্রা নিয়ে দেশে সেভাবে কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি ফলে কর্মসংস্থান বাড়লেও তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব। যার প্রধান দুটি কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও শিল্পোন্নয়ের মন্থর।
Poverty And Unemployment In India: Different Types Of Unemployment And Their Causes
Seasonal Unemployment:
মৌসুমী বেকারত্ব ঘটে যখন লোকেরা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বেকার থাকে যখন শ্রমের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। মৌসুমী বেকারত্ব বলতে একটি অস্থায়ী সময়কে বোঝায় যেখানে উপলব্ধ কর্মসংস্থানের সুযোগের সংখ্যা হ্রাস পায়।
Technological Unemployment:
দেশে যখন অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন ঘটে তখন যে বেকারত্বের সমস্যা দেখা দেয় তাকে কাঠামোগত বেকারত্ব বা প্রযুক্তিগত বেকারত্ব বলে। দেশে যত বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠছে সেই সাথে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলি ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। ফলে বেশ কিছু মানুষ কর্মচ্যুত হচ্ছে। আবার কৃষিক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মহীনতা বাড়ছে। এই ধরণের বেকারত্বকেই আমরা প্রযুক্তিগত বেকারত্ব বলতে পারি।
Business Cycle Unemployment:
ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির একটি বৈশিষ্ট্য হল, এই ধরণের অর্থনীতিতে প্রায়শই জাতীয় আয়ের ওঠা নাম দেখা যায়। বাণিজ্যচক্রের যখন মন্দাবস্থা দেখা যায় তখন জাতীয় আয় কমে,কর্মসংস্থান হ্রাস পায়, বেকারত্বের বৃদ্ধি ঘটে।ভারতে এই ধরণের বাণিজ্যচক্র লক্ষ্য করা যায়।
Agriculture And Rural Unemployment (কৃষি ও গ্রামীণ বেকারত্ব):
কৃষি ও গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের সমস্যা সর্বপ্রধান। এই ক্ষেত্রটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে – কৃষিক্ষেত্রে, বাগিচা শিল্প,কুটির ও গ্রাম্যশিল্প। কৃষিক্ষেত্রে মূলত মরশুমি বেকারত্ব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া চা বাগিচা,রবার বাগিচা, কফি বাগিচাতে নিযুক্ত শ্রমিকদের মধ্যেও এই মরশুমি বেকারত্ব দেখা যায়।
Industrial And Urban Unemployment (শিল্প ও শহরাঞ্চলের বেকারত্ব):
শিল্প ও শহরাঞ্চলে বেকারত্বের পরিমান ক্রমশ বাড়ছে। মূলত যা হলো কাঠামোগত বা প্রযুক্তিগত বেকারত্ব। এছাড়া স্বল্প নিযুক্তির পরিমাণও লক্ষ্য করা যায়। এই শহরাঞ্চলের বেকারত্বের আরও একটি প্রধান সমস্যা হল শিক্ষিতদের মধ্যে বেকার সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি।