Table of Contents
Geography of West Bengal
Geography of West Bengal: West Bengal is located to the east of the Indian Republic. Located in the western part of Bengal. This is why it is called West Bengal. The name West Bengal was adopted when the western part of the province of Bengal was annexed by India in 1947. It was then renamed in English West Bengal.
Geography of West Bengal | |
Category | Study Material |
Name | West Bengal Districts List |
Subject | Geography |
Geography of West Bengal
Geography of West Bengal : যে প্রার্থীরা West Bengal Civil Service 2022 পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে চলেছেন তাদের WBCS Executive 2022 পরীক্ষাটি মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।WBPSC 2022 এর পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস ( WBCS Executive),,অডিট এবং অ্যাকাউন্টস সার্ভিস(Audit & Accounts Service),ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড সাব-ইন্সপেক্টর (WBPSC FOOD SI)সার্ভিসের পরিষেবা ক্ষেত্র,কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক(Krishi Prayukti Sahayak), Miscellaneous 2022 সমস্ত পরীক্ষার Study Material for WBCS 2022 Series,বেঙ্গলিতে পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল(Geography of West Bengal) প্রদান করা হচ্ছে যাতে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পূর্বদিকে অবস্থিত। বঙ্গদেশের পশ্চিমাংশে অবস্থিত। এই কারণে এর নাম পশ্চিমবঙ্গ। 1947 খ্রিষ্টাব্দে বাংলা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল যখন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গ নামটি গৃহীত হয়। তখন এর ইংরেজি নামকরণ করা হয়েছিল West Bengal (ওয়েস্ট বেঙ্গল)। 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের ইংরেজি নামটি পালটে Paschimbanga রাখার প্রস্তাব দেয়। এ-রাজ্যের উত্তরে হিমালয় এবং হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র এবং সিক্কিম রাজ্য, পূর্বদিকে অসম রাজ্য ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র, পশ্চিমে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা। কলকাতা ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম মহানগর। এছাড়া উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি রাজ্যের অপর এক অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন মহানগর। এছাড়া অন্যান্য মহানগরীগুলো হলো‒ আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া, রাণীগঞ্জ, হলদিয়া, জলপাইগুড়ি, খড়গপুর, বর্ধমান, দার্জিলিং, মেদিনীপুর, তমলুক, ইংরেজ বাজার ও কোচবিহার।
Location | অবস্থান
Location: ভৌগোলিকগত অবস্থানের দিক দিয়ে রাজ্যটি দক্ষিণে 21০ 31’ উত্তর থেকে উত্তরে 27০14’ উত্তর পর্যন্ত এবং পশ্চিমে 85০91’ পূর্ব থেকে 89০93’ পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। কর্কটক্রান্তি রেখা এ-রাজ্যের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর, ধুবুলিয়া, বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী, গুসকরা, আউসগ্রাম, রাজবাঁধ, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া জেলার দুর্লভপুর এবং পুরুলিয়া জেলার আর্দ্রা শহরের উপর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত।
Boundaries | সীমানা
Boundaries : এই রাজ্যের উত্তরে ভারতের সিকিম রাজ্য, উত্তর-পূর্বে ভুটান। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও নেপাল, পূর্বে আসাম রাজ্য ও বাংলাদেশ (সর্বাধিক দীর্ঘ সীমানা রেখা 2292 কিমি রেখা) অবস্থান করছে । উত্তর-দক্ষিণে প্রায় 623 কিমি এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় 320 কিমি বিস্তৃত। এই রাজ্যের সংকীর্ণতম অঞ্চল হল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া।
এ-রাজ্যের উত্তর সীমা যেমন হিমালয় পর্বতমালাকে স্পর্শ করেছে, তেমনি দক্ষিণ সীমায় রয়েছে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার সুবিশাল বদ্বীপ ও বঙ্গোপসাগর। তিনটি বিদেশি রাষ্ট্র – নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ এবং পাঁচটি ভারতীয় রাজ্য – সিক্কিম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসম প্রত্যক্ষভাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সান্নিধ্যের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বিদ্যমান।
Area | আয়তন
Area : পশ্চিমবঙ্গের মোট আয়তন 88752 বর্গকিলোমিটার (34267 বর্গমাইল)। 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা হল প্রায় 8,02,21,171 জন। জন-ঘনত্বের দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে 908 জন মানুষ বাস করে। রাজ্যের মোট জনসংখ্যায় প্রতি 1000 জন পুরুষের অনুপাতে মহিলার সংখ্যা হল প্রায় 934 জন। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার অধিকাংশই বাঙালি সম্প্রদায়ভূক্ত।
Determining the Bangladesh-India maritime boundary | বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণ
Determining the Bangladesh-India maritime boundary : বাংলাদেশ সরকার 1974সালের গোড়ার দিকে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর তাৎক্ষণিক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরের তলদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাবার অফুরান সম্ভাবনা। 1971 এর পরে বসিরহাট-সাতক্ষীরায় হাড়িয়াভাঙা ও অভ্যন্তরীন নদী রাইমঙ্গলের মোহনায় তালপট্টি নামে একটি দ্বীপ গজিয়ে ওঠার পরে উভয় দেশই তাকে নিজের বলে দাবি করে। তিক্ততা বেড়ে উঠলে বাংলাদেশ দ্য হেগ এর আন্তর্জাতিক জলসীমা আদালতে সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত করে দেওয়ার আবেদন জানায়। আদালতের রায়ে বিবাদমান প্রায় 25 হাজার কিমি এলাকায় প্রায় সাড়ে 19 হাজার কিমি সমুদ্রের অধিকার পায় বাংলাদেশ। তালপট্টি দ্বীপসহ বাকি অংশে ভারতের অধিকারে আসে।
The topography of West Bengal | পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি
The topography of West Bengal : ভূপ্রকৃতিগত সব ধরনের বৈচিত্র্য (একমাত্র মরু অঞ্চল ছাড়া) পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় । ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও ভূমির গঠন অনুসারে পশ্চিমবঙ্গকে তিনটি ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়, যথা —
(ক) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল,
(খ) পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল,
(গ) গঙ্গার বদ্বীপসহ সমভূমি অঞ্চল
Rivers of West Bengal | পশ্চিমবঙ্গের নদনদী
Rivers of West Bengal : পশ্চিমবঙ্গ একটি নদীমাতৃক রাজ্য । পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ নদ-নদী উত্তরে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে অথবা পশ্চিমের ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল থেকে সৃষ্টি হয়ে এই রাজ্যের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বয়ে গিয়েছে। হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে সৃষ্ট নদ-নদীগুলি বরফ গলা জলে পুষ্ট বলে সারা বছর জল থাকে। পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট নদ-নদীগুলি বর্ষার জলে পুষ্ট বলে বর্ষাকাল ছাড়া বছরের অন্য সময় বিশেষ করে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে জল খুব কমে যায় অথবা একদমই জল থাকেনা। পশ্চিমবঙ্গের ভূমিরূপের অবস্থান অনুযায়ী গঙ্গা, ইছামতি, রূপনারায়ণ ইত্যাদি নদ-নদীগুলোত জোয়ার-ভাটা খেলে অর্থাৎ জোয়ারের সময় বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত জল হলেও সারা বছর জলের জোগান থাকে। অন্যদিকে রাঢ় অঞ্চলের কংসাবতীর মতো নদীগুলোর অবস্থান উঁচু থাকায় জোয়ারের জল ঢোকেনা। ফলে সম্বৎসর বর্ষা ভালো হলে জল থাকে, আর না-হলে নদীবক্ষ শুকিয়ে যায়।
উৎপত্তি ও গতিপ্রকৃতি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলিকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়, যথা:
(ক) উত্তরবঙ্গের নদনদী অথবা বরফ গলা জলে পুষ্ট নদ-নদী
(খ) মধ্যভাগে গঙ্গা ও তার বিভিন্ন শাখানদী
(গ) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের নদনদী অথবা বর্ষণ পুষ্ট নদ-নদী
(ঘ) দক্ষিণে সুন্দরবন অঞ্চলের নদনদী অথবা জোয়ার ভাটা জলে প্লাবিত নদ-নদী
Read Also:
List of Chief Ministers of West Bengal
Official Language Act PDF Download
The climate of West Bengal | পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু
Climate of West Bengal : পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির। উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ও সর্বত্র শীতের 3 মাস ছাড়া সারা বছরই উষ্ণতা বেশি থাকায় জলবায়ু উষ্ণ প্রকৃতির। পশ্চিমের মালভূমি ছাড়া রাজ্যের সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ায় জলবায়ু আর্দ্র প্রকৃতির। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা প্রসারিত হয়ে উষ্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি করায় জলবায়ু ক্রান্তীয় প্রকৃতির। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ দ্বারা আবহাওয়ার উপাদানগুলি সর্বাধিক প্রভাবিত হওয়ায় জলবায়ু মৌসুমি প্রকৃতির।
জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য :
১. ঋতু পরিবর্তন : সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়ন ও মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত এই চারটি ঋতু চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
২. মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : রাজ্যে ঋতু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাতের সংঘটন ও বন্টন, বায়ুপ্রবাহ ও উষ্ণতার পরিবর্তন সবকিছু মৌসুমি বায়ুদ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের 90% মৌসুমি দ্বারা ঘটে। মৌসুমি বায়ুর জন্য গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক।
৩. ঋতুগত বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ : এখানে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ থেকে উত্তরে সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে ১৮০° দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমিবায়ু স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।
৪. আর্দ্র গ্রীষ্ম ও শুষ্ক শীতকাল : বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাস্পপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি গ্রীষ্মকালে রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে আর্দ্র করে, যাকে বর্ষাকাল বলে। আবার স্থলভাগ থেকে আগত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর জন্য শীতকাল শুষ্ক হয়।
৫. বৃষ্টিপাতের অসম বন্টন : রাজ্যের সর্বত্র সমভাবে বৃষ্টি হয় না। বৃষ্টিপাত উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পশ্চিমে হ্রাস পায়। উত্তরের পার্বত্য ও তরাই অঞ্চলে 300-500, দক্ষিণবঙ্গে 150-200 এবং পশ্চিমের মালভূমিতে 100-150 সেমি. বৃষ্টিপাত হয়।
৭. উষ্ণতার তারতম্য : a) গ্রীষ্মে প্রায় লম্ব সূর্যরশ্মির জন্য গড় উষ্ণতা অধিক হয়, 32°-37° সে.। পুরুলিয়া মালভুমিতে 48° সে. উষ্ণতা ওঠে। দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর উপকূল বরাবর সমভাবাপন্ন অবস্থা বিরাজ করে। b) বর্ষায় বৃষ্টিপাতের জন্য উষ্ণতা কমে 25°-30° সে. হয়। c) শরতে সূর্য দক্ষিণে সরে যাওয়ায় উষ্ণতা কমে 20°-25° সে. হয়। d) শীতে তির্যক সূর্যরশ্মির জন্য উষ্ণতা সবচেয়ে কমে 15°-20° সে. হয়। দার্জিলিং অঞ্চলে মাঝে মধ্যে তুষারপাত হয়।
Daily Current Affairs in Bengali
ADDA247 Bengali Homepage | Click Here |
FAQ: Geography of West Bengal |পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল
Q. পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
Ans. পশ্চিমবঙ্গকে বিস্তৃতভাবে দুটি প্রাকৃতিক ভৌগলিক বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে- দক্ষিণে গাঙ্গেয় সমভূমি এবং উত্তরে উপ-হিমালয় ও হিমালয় অঞ্চল। গাঙ্গেয় সমভূমিতে গঙ্গা (গঙ্গা) নদী এবং এর উপনদী এবং শাখা নদীগুলির দ্বারা জমা উর্বর পলিমাটি রয়েছে।
Q. বাংলার ভৌগোলিক গুরুত্ব কত?
Ans. অঞ্চলটি তার স্বতন্ত্র উর্বর উচ্চভূমি ভূখণ্ড, বিস্তৃত চা বাগান, রেইনফরেস্ট এবং জলাভূমির জন্য বিখ্যাত।
Q. পশ্চিমবঙ্গের পুরাতন নাম কি?
Ans. বঙ্গ বা বাংলা নামটি প্রাচীন বঙ্গ রাজ্য বা বঙ্গ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
Q. পশ্চিমবঙ্গের ভূমিরূপ কি?
Ans.পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ভূমিরূপ হল- (ক) উত্তরবঙ্গের সমভূমি, (খ) রাহ সমভূমি, (গ) ব-দ্বীপ সমভূমি এবং (ঘ) বালুকাময় উপকূলীয় সমভূমি।
Check Also:
